‘আমি ও অপু’-Ami o Opu
নিশ্চিন্দিপুর বলতে প্রথমেই কোন ছবির কথা মনে আসে? বোধহয় রেল গাড়ি, কাশ বন আর অপু-দুগ্গা। ছেষট্টি বছর আগে সত্যজিৎ রায় যে অপূর্ব মোহময় পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, তার মায়াজাল থেকে আজও আমরা বেরোতে পারিনি। পর্দার সেই সমস্ত চরিত্ররা আমাদের কাছে খুব আপন, নিজেদের জীবনের সাথে মিশে গিয়েছে যেনো। তবে এই কথনে অগ্রভাগে অপুর কোথায় বেশি, সবই অপূর্ব রায় এর জীবন অভিজ্ঞতা ও তার উপলব্ধির সঙ্গী।
তাই এখন সুমন মৈত্রের হাত ধরে দুর্গার দৃষ্টিতে দেখব সেই সাধের নিশ্চিন্দিপুরকে। যার টিসার এসেছে প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয় টিসার আসছে 15 ই আগস্ট। সিনেমা হল খুললে আশা করি দেখতে পাব সিনেমা। বিভুতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের অপু, যে সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে বিশ্ব ঘুরছে। আজ সেই অপুর গল্প পুরো নিশ্চিন্দিপুরের গল্প দেখব দুর্গার চোখ দিয়ে “আমি আর অপু”(Ami o Opu) তে। 2021 শে তাঁর জন্ম শতবর্ষে একের পর এক কাজ হচ্ছে তাঁকে নিয়ে বা তার উদ্দেশ্যে।

এই ছবির কথা বলতে গেলে এক রকম বলা যায় একটা রিমেক যার বক্তা আলাদা, দৃষ্টি আলাদা।তবে এর কারণে কি বদলে যাবে গল্প? সুমন মৈত্রের মতে, একটুও না, সেই সর্বজয়ার দারিদ্র্য, সেই হরিহরের দারিদ্র্যমোচনের চেষ্টা, আর সর্বোপরি ভাই-বোনের টান, যা পথের পাঁচালীর মূল, কিচ্ছু বদল হবে না। শুধু বদলাবে বক্তা। তবে দুর্গার দৃষ্টিতে দেখা মানে হয়তো কিছু ফেমিনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। কিছু দাবী থাকবে যা দূর্গার নিজের জন্য হবে। তবে কি হবে সেই নিয়ে আর কিছুই খোলসা করে বলেননি পরিচালক।প্রথম টিসার শুধুই নস্টালজিয়া বয়ে নিয়ে যায়। এক খানা পদ্মপুকুর, এক ঝাঁক পাখির উড়ে যাওয়া, ধানজমি এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দেয় পথের পাঁচালির সুরে। তবে দ্বিতীয় টিসার এলে আরো কিছু দৃশ্য দেখা যাবে(Ami o Opu)

ঈশান রানা, প্রকৃতি পূজারিণী, আনন্দ এস চৌধুরী, সুশীল শিকারিয়া, ধ্রব দেবনাথ, সৌমিত্র ঘোষদের বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। নতুন করে পথের পাঁচালি দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আপাতত। 15 ই আগস্ট দ্বিতীয় টিসার এলে আরো কিছু বোঝা যাবে সিনেমা নিয়ে।