Dujone-Hoichoi:
সমস্ত বিতর্কের-র আগে সিরিজের সেটিং, কালার বা এডিটিং এর জন্যই শুধু “Dujone” সিরিজটা দেখতে ইচ্ছে করে। SVF এর নিজস্ব প্রযোজনা হওয়ায়, পুরো সিরিজে একটা visual satisfaction আছে। পুরো সিরিজে মুখ্য চরিত্র ছাড়াও বেশ কিছু চরিত্রে ডাবল আইডেন্টিটি দেখানোর জন্য মিরর ইমেজ ব্যবহার করা হয়েছে। চরিত্রগুলোর মধ্যেকার টেনশন, একই মানুষের মধ্যে আলাদা অস্তিত্ব দেখানোর চেষ্টা বেশ ভালো।
‘O My Love’ গানটা recreate করা হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর ব্যবহার বেশ ভালো। কমার্শিয়াল সিনেমার নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবহসঙ্গীত একই রকম লাগে, আরো কোনো গান বা মিউজিক রাখলে ভাল লাগত।

সিরিজের গল্প খুব নতুন কিছু নয়, অমিতাভ বচ্চনের ‘Don’ এর কিছু ছোঁয়া দেখা যায়, অ্যাক্সিডেন্ট এর পর বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা যায় যার ফলে স্ত্রীর সন্দেহ হয়। তবে প্লট একই হলেও একটা পারিবারিক সম্পর্ক, মিষ্টি প্রেম সব মিলিয়ে একটা ভালো রিক্রিয়েশন বলা যেতে পারে। সমস্ত চিত্রনাট্যে সাসপেন্স খুব ভালো ভাবে তৈরি করা হয়েছে, দর্শক আগে থেকে বুঝতে পারবে কি হচ্ছে বা চলছে, কিন্তু প্রধান চরিত্রর কাছে প্রকাশ হয় গল্পের শেষে, শকটা এবার দর্শক নয় বরং চরিত্র পাবে, বাংলা থ্রিলারের ক্ষেত্রে যা নতুন।
সোহম শ্রাবন্তীর কমার্শিয়াল ইমেজ এর সাথে মিলিয়ে মোটামুটি মানানসই ভাবে রিয়্যালিস্টিক অভিনয় করেছেন। কিন্তু সহকারী অভিনেতা অভিনেত্রী দারুণ কাজ করেছেন। রাজদীপ গুপ্ত প্রচুর হইচই প্রজেক্টে কাজ করেছেন, এই সিরিজে রাজদীপ নিজের চরিত্রে যথেষ্ট সাবলীল লেগেছে, দেবশঙ্কর হালদার নিঃসন্দেহে বড় মাপের অভিনেতা, এখানেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি, কমলেশ্বর মুখার্জীর অভিনয় মোটামুটি চলনসই।
গল্প খুব পুরোনো কিছু কিছু জায়গা একঘেয়ে লাগতে পারে, কিন্তু উপস্থাপনা সত্যি ভালো। বরাবর Hoichoi এর ওপর অভিযোগ থাকে একটি সিনেমার দৈর্ঘ্যের কাজকে ওয়েব সিরিজের মোড়কে এপিসোডে ভাগ করে দর্শকের সামনে উপস্থিত করা হয়। কিন্তু এইক্ষেত্রে সেরকম মনে হবে না। প্রতিবারের মতো গল্পকে প্রথম সিজনে মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়নি, কিন্তু তার সাথে পরের সিজনের জন্যেও সাসপেন্স রেখে দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে, ‘Hoichoi’ এর বাকি গড়পড়তা কাজের তুলনায় এই সিরিজ বেশ ভালো লাগবে, সেন্ট পার্সেন্ট entertaining!
On M.Y. Opinion, ‘Dujone’ is 50% OP & 62% OK.