Mahananda-
দীর্ঘ এক বছরে এই অতিমারির ভ্রুকুটিতে থমকে গিয়েছে টলিপাড়া। গত এক বছরে আমরা হারিয়েছি বেশ কিছু উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্তু সময়ের কাছে হার মেনে নেওয়া যায় না, তাই সব প্রতিকূলতা ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করছেন সবাই। একের পর এক announcement আসছে বাংলা সিনেমার ডিরেক্টর এবং তারকাদের থেকে।
12 মার্চ, পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আসন্ন ছবি ‘মহানন্দা’(Mahananda) র অফিসিয়াল announce করেন। কিন্তু করোনা, লকডাউন সব মিলিয়ে মহানন্দার (Mahananda) গতি তখনের মতো রোধ হয়েছিল। ঠিক তিন দিন আগে পরিচালক নিজেই জানিয়েছেন ফিল্মের শুটিং শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। আর সেটের ছবি সহ কাজ এগোনোর প্রতি মুহূর্তের আপডেট সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করে চলেছেন।পূর্বনির্ধারিত কাস্টিং অনুযায়ী গার্গী রায়চৌধুরী, দেবশঙ্কর হালদাররা প্রথম দিন থেকেই ফ্লোরে উপস্থিত ছিলেন।সমস্ত পরিস্থিতি আগের মত স্বাভাবিক হয়ে ওঠার দিকে এগোচ্ছে। অত্যন্ত ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে ছোট্ট একটা খচখচানি রয়েই যাচ্ছে।

অরিন্দম বাবুর মতে এই ছবি বায়োপিক নয়, মহাশ্বেতা দেবীর কাজ আর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত একটি ফিকশন। গল্পে women empowerment এর বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরা হবে। অরিন্দম শীল ও শুভেন্দু দাসমুন্সী চিত্রনাট্য লিখেছেন, এবং একাধিক বার পরিবর্তন করেছেন। তবে বিষয় সেটা নয়। সমস্যা হল মহাশ্বেতা দেবীকে মহানন্দা বলে সম্বোধন করা। আমরা কি এখনো সাবালকত্ব তে পৌঁছতে অক্ষম যে একজন সত্যিকারের জলজ্যান্ত চরিত্রের পর্দায় উপস্থাপনা মেনে নিতে পারবো না? তাঁকেই যদি সম্মান জানানো উদ্দেশ্য হয়, তবে তাঁর আসল নামের ব্যবহারে অসুবিধা কোথায়?
বিশ্ববরেণ্য লেখিকা, অ্যাক্টিভিস্ট মহাশ্বেতা দেবী কে কাছ থেকে জানার জন্য তার ভক্তদের কাছে এই সিনেমা সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু সেখানে এই সিনেমা দেখতে বসে বার বার মহাশ্বেতা দেবী কে মহানন্দা দেবী শুনতে হবে, এমনকি নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য র নাম কে বিকৃত করে শুনতে হলে, দর্শকের মনে অস্বস্তি হবেই। লেখিকার জীবনের স্বত্বাধিকারীরা একদিক দিয়ে যে সেই মানুষটিকে অপমান করছেন, এবং এই দীর্ঘ অপেক্ষিত সিনেমা দর্শকের কাছে তার বাস্তবতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে, তা বোঝার সময় এসেছে। আপনাদের কি মত? কমেন্ট সেকশনে জানান।