মুখোশ(Mukhosh) খুলল প্রেক্ষাগৃহে:
গতকাল থিয়েটারে এসেছে মুখোশ(Mukhosh), বিরসা দাশগুপ্তের আন্জাম পাথিরার অফিসিয়াল রিমেক। খুব ছোটো করে বললে গল্প হলো একটি সিরিয়াল কিলারের, যে কলকাতার পুলিশদের একের পর এক খুন করে যাচ্ছে। সেই রহস্য ভেদ করতে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যোগ দিয়েছেন ক্রিমিনলজিস্ট কিংশুক রায়।
গল্প একই হলেও সিনেমার প্রেজেন্টেশন কিন্তু বেশ অন্যভাবে করা হয়েছে। কাস্টিং মোটামুটি জানা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অনির্বাণ চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, পায়েল সেন, এবং আরো 2 জন যাদের সম্পর্কে বলে দিলে স্পয়লার হয়ে যাবে। হলে গিয়ে দেখুন, এই চমকটা খুব ভালো লাগবে। আন্জাম পাথিরা দেখা থাকলে আপনি কেনো মুখোশ(Mukhosh) দেখতে যাবেন? এবং দেখতে গেলে তা কতোটা খুশি করবে আপনাকে?

সিনেমাটি রিমেক হলেও একশ শতাংশ কপি নয়। প্রথম কিছু সিন ফ্রেম টু ফ্রেম কপি হলেও পরের দিকে কিছু বদল আছে, যে বদলগুলো দেখতে ভালো লাগবে। আসল মালায়ালাম ছবির শেষটা অনেকেরই ভালো লাগে নি, এখানে শেষে কিছু পরিবর্তন আছে যা থ্রিলারকে আরো টানটান করেছে। আন্জাম পাথিরা দুই ঘন্টা বাইশ মিনিটের একটি ছবি, বিরসা দাশগুপ্তের ‘মুখোশ(Mukhosh)’ কাছাকাছি 2 ঘন্টার একটি ছবি। মুখোশ(Mukhosh) সিনেমার দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় ছবিতে উত্তেজনা এক রকম থাকে।

অভিনয় নিয়ে বলি, সবাই সবার জায়গায় যথাযথ, কাউকেই আলাদা করে চোখে পড়বে না। যাকে যতোটুকু পার্ট দেওয়া হয়েছে সেটা করছেন। অনির্বাণ ভট্টাচার্য কিংশুক রায় হিসেবে তার প্রথম কেস স্টাডি করছেন তাই তার মধ্যে একটা ভয়, অস্বস্তি কাজ করছেন। অনির্বাণের চরিত্রে আলাদাভাবে করার কিছু কিছু নেই, স্বাভাবিক সাধারণ একটি চরিত্র। বাকিদের মধ্যে চান্দ্রেয়ী ঘোষকে তার চরিত্রে ভালো লাগছে। পুরো গল্পে কোনো চরিত্রকেই স্পেশাল ভাবে তৈরি করা হয়নি।
পুরো ছবিতে একটা থ্রিলিং bgm ব্যবহার করা হয়েছে, যা ছবির মুড ধরে রাখে। শার্লক হোমসের কথা আসে এক জায়গায় যেখানে হোমসের টিপিক্যাল bgm এর ব্যবহার বেশ ভালো লাগে।

কালার গ্রেডিংয়ে নজর দিয়েছেন পরিচালক, পুরো সিনেমায় ডার্ক একটা কালার থিম রেখেছেন যেটা বড়ো পর্দায় দারুণ লাগবে।
তবে মুখোশ(Mukhosh) সিনেমায় সবথেকে আকর্ষণীয় হল সিনেমার তৈরিটা। রিমেক হলেও একটা ফ্রেশ ব্যাপার আছে, যেটা রিমেকের ক্ষেত্রে খুব দরকার। সিনেম্যাটোগ্রাফী কিছু জায়গায় দারুণ, কথা হতে হতে বইয়ের ওপর ফোকাস রাখা, বা দূর থেকে নেওয়া কিছু hezy শট বেশ ভালো একটা অনুভুতি দেয়। বলা যায় বিরসা দাশগুপ্ত রিমেক করায় ভালো নাম্বার নিয়ে উতরে গেছে।

একদম প্রথমে যে প্রশ্নটা রাখা হয়েছিলো, এই ছবি কি দর্শককে হলে ফেরাতে পারবে? আমার মতে বড়ো পর্দায় দেখার মতো সিনেম্যাটিক এক্সপিরিয়েনস এই ছবিতে আছে। মানুষের জীবনের কাহিনীর বাইরে অনেকদিন পর একটা ভালো থ্রিলার বাংলায় এসেছে, দর্শকের অবশ্যই হলে গিয়ে ছবিটি দেখা উচিত। বড়ো পর্দায় দেখার মতো একটা ছবি যেটা বড়ো পর্দাতেই দেখা ভালো।
On M. Y. OPINION মুখোশ IS 60%OP, 77%OK.
Related article- অনির্বাণ ভট্টাচার্য(Anirban Bhattacharya) অভিনীত ‘নকল মুখ’