Stuck-
সপ্তাহের শুরুতে ঘরে বসে 2-2.30 ঘন্টার সিনেমা বা বড়ো একটা ওয়েবসিরিজ দেখে নেওয়ার সময় বেশিরভাগ মানুষেরই থাকে না। সবাই যে যার মতো করে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত। কিন্তু তার মাঝেই ছোট্টো একটা বিরতি নিয়ে ছোটোখাটো একটা শর্ট ফিল্ম দেখে নেওয়ায় যায়, তাই না? যদি সেই শর্ট ফিল্ম হয় sci-fi নিয়ে? তাহলে বোধ হয় আকর্ষন আরো বেড়ে যায়।

একটি ছেলে যে নিজেকে প্রায় সব কিছু থেকে আলাদা করে নিয়েছে, এবং নিজেকে artificial intelligence এর দ্বারা আটকে ফেলেছে। সকালে তার সব যন্ত্র গুলো অ্যাক্টিভ হয় এবং প্রয়োজনীয় সব কাজ – ঘর পরিস্কার করা, স্মার্ট বাথরুমের তৈরি থাকা, কফি তৈরি রাখা থেকে সকলের খাবার ঠিক রাখা সমস্ত কিছুই যন্ত্র দ্বারা পরিচালিত। এমনকি ঘুমোনো ঘুম থেকে ওঠা, সারাদিনের কাজ সমস্ত কিছুই। স্মার্ট পর্দা, বাথরুম, ঘর পরিষ্কার করার মেশিন সব কিছুর ইএমআই বাকি, ব্যাংক থেকে ফোন আসছে বারবার। কিন্তু যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরোতে পারছে না।
এই একাকী জীবন কি যথেষ্ট? যদি আমরা সবাই নিজেদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করতে পারি তবে আমাদের কি কোনো মানুষের সান্নিধ্য প্রয়োজন হবে না? আমরা কি একা একা বেঁচে থাকতে পারবো, উপভোগ করতে পারবো একাকীত্ব? নাকি যান্ত্রিক বেড়াজালে আটকে পড়ব?

প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের প্রচুর কাজ ইউটিউবে পাওয়া যায়। Stuck সেরকমই একটা ছবি, যার দৈর্ঘ্য 11 মিনিট 16 সেকেন্ড। প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে পেয়ে যাবে এই ছবিটি।
ছবির মুখ্য ও একমাত্র চরিত্র রাহুল ব্যানার্জি, যাঁর মুখ থেকে আমরা প্রায় কোনো ডায়ালগ দেননি পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। তাঁর অভিনয় পুরোপুরি ভাবে ব্যবহার করেছেন পরিচালক। যান্ত্রিক আওয়াজ ও কথা ছাড়া কোনো শব্দ ব্যবহার করেননি। AI এর একটা আবহাওয়া তৈরি করার জন্য যান্ত্রিক অ্যাসিস্ট্যান্টের কথা ও কমান্ড ব্যবহার করেছেন প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য।
বেশ অন্যরকম একটা থিম নিয়ে তৈরি একটি শর্ট ফিল্ম, মিনিট দশেক সময় নিয়ে দেখে নিতে পারো। নিচে রইলো লিঙ্ক।
Khub valo